পর্ব-১
....................................
আমি সারা জীবন ব্যাচেলর থাকতে চেয়েছিলাম।কিন্তু মা বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিল বলে আমি ঢাকা থেকে বাড়ীতে আসি নি।
কিন্তুু ইদের ছুটিতে বাড়ীতে এসে বিপদে পড়েছি।
আজ মা আমাকে বলেছে মেয়ে দেখতে যেতে হবে।
আমি তো বিয়ে করতে এখনও রাজি না।বিয়ে মানে পরাধীনতা।আর বৌয়ের প্যাড়া।
সারাজীবন দেখে আসছি আমার বাবার বিয়ের করুন পরিনতি।
আমার বাবা আমার মতোই বোকা সোকা একটা মানুষ।বিয়ে করেছিল আমার মাকে।কিন্তু আমার মা বাবার সরলতার সুযোগ নিয়ে বাবাকে চরকার মতো ঘোরায়।
আমি জন্মের পর থেকে সেটা দেখে আসছি।এখনও দেখছি।
আমার মায়ের অনুমতি ছাড়া বাবা ঘরের বাইরে পর্যন্ত যায় না।
আর কোন কাজে একটু এদিক ওদিক হলেই মা এমন করে যেন উনিই এবাড়ীর চেয়্যারম্যান আর বাবা মেম্বর।
আমিও বাবার মতো খাল কেটে কুমির আনতে চাই না।
অবশেষে আমাদের বাড়ীর চেয়ারম্যান এর আদেষে তার সাথে আমাকে,বোন রিমাকে আর বাবাকে যেতে হচ্ছে মেয়ে দেখতে।মায়ের বান্ধবির মেয়ে।
মেয়ের বাড়িতে বসে আছি। শরীরটা ঘেমে ভিজে যাচ্ছে ফ্যান চলা শর্তেও।খালি টেনশন আর টেনশন।
মেয়েকে আমাদের সামনে আনা হলো।মেয়েটার নাম নিলা।
আমি মেয়ের দিখে তাকিয়ে আতকে উঠলাম।মনে হচ্ছে এটা মায়ের মতই হবে।
সবাই বললো আমাদের দুজনকে আলাদাভাদে কথা বলার জন্য।
মা আমাকে মেয়েটির সাথে যেতে বললেন।আর মেয়েটিকে কানে কানে কি যেন বলে দিলেন।
আমি মেয়েটির সাথে ঘরে গিয়ে ছোফায় ভ্যাবলা কান্ত মত হয়ে বসে পড়লাম।
যাতে মেয়েটা আমাকে পছন্দ না করে।
আমি চুপচাপ বসে ছিলাম।তখন নিলা বলে উঠলো---
---কিছু বলবেন?
---না আমার কিছু বলার নেই।
মনে হচ্ছে ও বিরক্ত হচ্ছে।
---ঐ মিয়া আমাকে পছন্দ হয়েছে??
----জি ই ই হয়েছে।
---আপনি তোতলান ক্যান?
---আসলে আমি এই বিয়েতে রাজি না।
---কিন্তু আমিতো রাজি।আর আপনি রাজি না হলে একঘুসিতে নাক ফাটিয়ে দেব।(ঘুসি উচিয়ে)
---নাহ আমি রাজি।
এরপর আমরা বাড়ীতে চলে আসলাম।
মা বিয়ের দিন ঠিক করেছে ১মাস পর বিয়ে।
কিন্তু ঐ মেয়েকে আমি কোন মতেই বিয়ে করবো না।
ওটা মেয়ে না অন্য কিছু।
ওকে বিয়ে করলে আমাকে বাবার মতো চেয়ারম্যানি ছেড়ে মেম্বরি ধরতে হবে।
কিন্তু আমি মেম্বরি চাই না চেয়ারম্যানই চাই।
এদিকে মা আমার অফিসে ফোন করে ২মাসের ছুটিও নিয়ে নিয়েছে।নইলে অফিসের নাম করে পালিয়ে যেতাম।
আমি বাবাকে ব্যাপারটা বললাম।বাবা আমার ব্যাপারটা বুঝলেন।
তিনি বুদ্ধি দিলেন বাড়ি থেকে পালানোর।
আর বাবা আমাকে সাহায্য করবে।
মা আমাকে আর বাইরেও যেতে দেয় না।বিয়ের দিন ঘনিয়ে আসল।আর ৫দিন বাকি।
বাবা আজকে বাজারে গেলে আমার জন্য ঢাকার একটা বাস টিকিট কেটে আনবে।আর পরশু পালাবো রাতে।
বিয়ের আর আজ বাদে আর দুইদিন বাকি।
আজ রাতেই পালাবো যে করে হোক।
রাতেবাবা আমাকে নিয়ে এগিয়ে দিল স্টেশনে ।
আমি মনে মনে খুসি।বাড়ী থেকে পালাতে পড়ে।
কিন্তুু বাবার কি হবে মা বাবকে আস্ত রাখবে না।
বাবা বললেন ওনাকে নিয়ে কোন চিন্তা না করতে।
বাস আর ১০মিনিট পর ছাড়বে।
বাবা আমাকে বিদায় দিয়ে চলে গেলেন।
বাস ছাড়ার মিনিট চারেক বাকি তখন কেউ আমার কাধে হাত রাখলো।
পিছন ফিরে দেখি আমার জল্লাদ মামা।
আমি শেষ উনি কিভাবে জানলো?
নিঃশ্চয় মা কিছু বুঝতে পেরে এনাকে পাঠিয়েছে।
আমি বাস থেকে নিচে নেমে দেখি বাবাও নিচে দাড়িয়ে।তাকে দুজন ধরে রেখেছে।
মানে আমরা ধরা পড়ে গেলাম আমাদের খবর আছে।
বাড়িতে গেলে বাড়ির চেয়ারম্যান বিচার করে আমাদের বাপ বেটার বিয়ের আগ পর্যন্ত খাওয়া বন্ধ করে দিলেন।
মানে ২দিন না খেয়ে থাকতে হবে।
আমাদের উকিল হয়ে বোন আপিল করলো কিন্তু কাজ হচ্ছে না।
কি আর করা উনার আদেষ আমাদের মাথা পেতে নিতে হলো।
অবশেষে বিয়ের দিনটা এসে গেল।
কি ভাবছেন এদুইদিন না খেয়ে ছিলাম?
আরে নাহ।আমার বোন আছে না।
ও ওর ঘরে আলাদা করে রাইসকুকারে ভাত ও আলু সিদ্ধ করে খায়িয়েছে আমাদের। অবশ্য মা জানে না।
বোনটা ছিল বলে বাচা।
অবশেষে বিয়ে বাড়ীতে বরের বেশে পৌছালাম।
কাজী বিয়ে পড়াতে এসে ফিরে গেল।
সারা বিয়ে বাড়িতে হৈ চৈ পড়ে গেল কারণ বর কবুল বলে নি।
কি জন্য বলবো বলেন।৩বার কবুল বললেই যে আমি আমার স্বাধীনতা হারাবো।
অবশেষে মা কাজী সাহেবকে নিয়ে হাজির।
মা কাজীকে বললেন---নিন এবার বিয়ে পড়ান আমি ছিলাম না বলে ও কবুল বলে নি।
কাজি আবারও বিয়ে পড়াচ্ছে।
কবুল বলতে বললো মায়ের ভয়ে বলেই দিলাম।
অবশেষে বৌ নিয়ে বাড়িতে ফিরলাম।
রাত ১১টার মতো বাজে ছাদে দাড়িয়ে জিবনে প্রথম একটা সিগারেট ধরালাম শুনেছি এটা টেনশন কমায়।
কিন্তুু ধরানোটা বৃথা হয়ে গেল।একটানের বেশি দিতে পারি নি।
একটান যখন দিয়েছি তখনই মনে পড়লো এটাতে নাকি ক্যান্সার হয়।
তাই ফেলে দিয়েছি।
দাড়িয়ে দাড়িয়ে ভাবছি আমার অবস্থাও কি বাবার মতো হবে???
তখনই মা বললো
---ঐ তোর এখানে কি? যা ঘরে যা বৌমা একা আছে।
মায়ের আদেষে সবার কাঙ্খিত আর আমার অনা কাঙ্খিত বাসর ঘরে ঢুকলাম।
দরজাটা বন্ধ করে পিছনে তাকালাম দেখি বউ খাট থেকে উঠেছে মনে হয় সালাম করবে।
কিন্তুু ও কোমরে শাড়ী পেচাতে পেচাতে আসছে কেন?
ও আমার কাছে এসেই শেরওয়ানির কলারটা চেপে ধরলো।ধরেই বললো---
---ঐ মিয়া আপনার জন্য আজ আমার মান সম্মান সব শেষ।আজ আপনার খবর আছে।
আমি ভয়ে কেপে উঠলামম আর জিগ্যেস করলাম --- আমি আপনার কি করেছি।
<চলবে......>
(কেমন হলো জানাতে ভুলবেন না)
Gundi wife
....................................
I wanted to be a bachelor all my life. But I didn't come home from Dhaka because my mother was pressuring me to get married.
But I came home on holiday and I was in danger.
Today my mother told me to go see the girl.
I still do not agree to get married. Marriage means subjugation.
I've been watching my father's marriage all my life.
My father is a stupid man like me. He married my mother.
I have been watching it since I was born. I am still watching it.
Dad doesn't go out of the house without my mother's permission.
And whenever there is a little side to side work, the mother acts as if she is the chairman of the house and the father is a member.
I don't want to cut the canal and bring crocodiles like my father.
Finally, at the behest of the chairman of our house, I, sister Rima and father have to go with him to see the girl. Mother's girlfriend's daughter.
I am sitting at my daughter's house. The body is getting wet with sweat even when the fan is running. Empty tension and tension.
The girl was brought in front of us. The girl's name was Nila.
I looked at my daughter and was shocked. I think it will be like my mother.
Everyone told the two of us to talk separately.
My mother told me to go with the girl.
I went home with the girl and sat on the couch like Vabla Kant.
So that the girl does not like me.
I was sitting quietly. Then Nila said ---
--- Say something?
--- No, I have nothing to say.
Feeling we have 'Run out of gas' emotionally.
--- Do you like that Mia ??
---- GEE has been.
--- Can you stutter?
--- In fact, I do not agree to this marriage.
--- But I agree. And if you don't agree, I will blow my nose in one punch. (Raises his fist)
--- No, I agree.
Then we came home.
Mother fixed the wedding day after 1 month of marriage.
But I will never marry that girl.
That's a girl or something else.
If I marry him, I will have to leave the chairmanship like my father and hold membership.
But I don't want membership, I want chairman.
Meanwhile, my mother called my office and took 2 months leave. Otherwise, I would have run away in the name of the office.
I told my father about it. My father understood.
He decided to run away from home.
And Dad will help me.
My mother doesn't let me go out anymore. The wedding day is getting closer. And 5 days left.
If my father goes to the market today, he will buy me a bus ticket to Dhaka. I will escape the night after tomorrow.
There are two days left except the wedding.
I will escape tonight no matter what.
Ratebaba took me to the station.
I am happy in my mind. I have to run away from home.
But what will happen to the father, the mother will not keep the father whole.
Dad told her not to worry about him.
The bus will leave in 10 minutes.
Dad said goodbye to me and left.
About four minutes before leaving the bus, someone put his hand on my shoulder.
Looking back, I see my executioner mama.
How did he know I was last?
Surely my mother understood something and sent Anna.
I got down from the bus and saw my father standing downstairs. He was being held by two people.
I mean we got caught we have news.
When we went home, the chairman of the house judged and our father Beta stopped eating till the wedding.
That means you don't have to eat for 2 days.
The sister appealed to us as a lawyer but it was not working.
What else did he have to do to get our head.
Finally the wedding day came.
What do you think I did not eat two days?
Oh no. I don't have a sister.
He cooked rice and potatoes in a separate rice cooker in his house and fed us. Of course mother does not know.
Survive the sister.
Finally I arrived at the wedding house dressed as the groom.
Kazi came to teach marriage and went back.
The whole house was abuzz with excitement because the groom had not confessed.
He said what will I say for. If I confess 3 times that I will lose my freedom.
Finally mother appeared with Mr. Kazi.
Mother said to Kazi --- Take me to teach marriage this time because I was not there and did not accept.
Kazi is getting married again.
I told him to confess because I was afraid of my mother.
Finally I returned home with my wife.
I stood on the roof at 11 o'clock at night and lit a cigarette for the first time in my life. I heard that it reduces tension.
But the catch was in vain. I couldn't give more than one.
When I gave it to him, I remembered that it has cancer.
So I left.
I am standing and wondering if my condition will be like that of my father ???
That's when the mother said
--- What are you doing here? In that house which Bauma is alone.
At the behest of my mother, I entered the living room, which was desired by everyone and desired by my mother-in-law.
I closed the door and looked behind me. I saw my wife getting up from the bed. I think she would greet me.
But why is he coming with a sari on his waist?
He came to me and grabbed Sherwani's collar.
--- ঐ Mia, my respect for you is over today. You have news today.
I jumped up in fear and asked --- what have I done to you.
<Will continue ......>
(Be sure to let me know how)
No comments:
Post a Comment